এবার জেনবুক ডুয়ো ১৪-তে থাকছে ডাবল টাচ স্কিম সুবিধা

আসুস এখন ডুয়েল স্ক্রিন এর প্রিমিয়াম জেনবুক সিরিজের নতুন ল্যাপটপ বাজারজাত করছে। এই ল্যাপটপ টির মাধ্যমে আসল আমাদেরকে পরিচয় করাল দুই স্ক্রিনের স্ক্রিনপ্যাডপ্লাস ডিসপ্লের সঙ্গে। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে 14 ইঞ্চি জেনবুক ডুয়ো ১৪ (ইউএক্স৪৮২) মডেলের ল্যাপটপটি উন্মোচন করেছে আসুস।

এই ল্যাপটপটি এবছর সিইএস আয়োজনে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছে। আর এই আসুস এর সঙ্গে যুক্ত হলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার তামিম ইকবাল।  তিনি জেনবুক ডুয়ো ক্যাম্পেইনে আসুস ও তার সোশাল মিডিয়া পেইজে প্রচারণা চালাবেন বলে জানিয়েছেন।

এছাড়াও আসুস জেনবুক ডুয়ো ১৪-তে রয়েছে ইন্টেল কোম্পানির একাদশ জেনারেশনের ইন্টেল কোর আই৭ প্রসেসর, যা আমাদের কাছে ইন্টেলের ইভো প্লাটফর্ম হিসেবে পরিচিত।

এছাড়াও থাকছে ইন্টেলের আইরিশ এক্সই গ্রাফিক্স ও ১৬ জিবি র‍্যাম। আর ১৪ ইঞ্চির মূল ডিসপ্লের সাথে  থাকছে ১২ দশমিক ৬ ইঞ্চির আরো একটি স্ক্রিন, আর মজার ব্যাপার হলো এই যে এই দুটোই স্ক্রিনই টাচ এনাবল সিস্টেম চালু রয়েছে। এছাড়াও আসুসের এই ল্যাপটপটিতে রয়েছে আলট্রা-ফাস্ট পিসিআইই ৩.০ এক্স৪ ৫১২ জিবি পর্যন্ত এসএসডি স্টোরেজ সুবিধা ও।

এর পাশাপাশি জেনবুক ডুয়োতে ১৪ ডিভাইসে রয়েছে যা আসুসের নিজস্ব প্রযুক্তি এবং এর সাথে আরও রয়েছে একাদশ জেনারেশনের ইন্টেল প্রসেসরে। যা আমাদেরকে খুব ভালো মনের একটা পার করলে সেবা প্রদান করবে। ব্যবহারকারীরা এতে পারফরম্যান্স মুড ব্যবহার করে  সমমানের ল্যাপটপের থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কর্মক্ষমতা বেশি উপভোগ করতে পারবে। 

এছাড়াও এতে আরও অনেক রকমের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। যেমন ইন্টেল আইরিশ এক্সই গ্রাফিক দেয়ায় ভিজ্যুয়াল ও মাল্টিটাস্কিং, ছবি সম্পাদনা করা এবং ক্যাজুয়াল ভিডিও এডিটিংসহ বিভিন্ন টাস্ক সহজেই করা সম্ভব হবে। 

আর ল্যাপটপটি ঠাণ্ডা রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে  অ্যাডভান্সড থার্মাল কুলিং সিস্টেম। আর এর সাথে  দেওয়া হয়েছে ৩ মিলিমিটার পাতলা চেসিস যাতে করে এর কোন লিংক ক্ষমতা অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়।  

এতে থান্ডারবোল্ট সমর্থন কড়ায় ৮কে মনিটর এবং কিংবা ২ টি ৪কে মনিটর একসাথে সংযোগ করা যাবে। এছাড়াও ল্যাপটপটিতে সাথে দেওয়া হবে আসুস পেন (স্টাইলাস) ও।

এছাড়াও ল্যাপটপটির মূলত আকর্ষণের কারণ হলো ফুল-ওয়াইড সেকেন্ডারি টাচ-স্ক্রিন ডিসপ্লে। যার ক্ষমতা রেজুলেশন ৩৮৪০*১১০০ পিক্সেল এবং এর উজ্জ্বলতা ৪০০ নিট। এছাড়াও আপনি চাইলেএটিকে উপরের দিকে বাড়াতে পারবেন আর ডিগ্রি পর্যন্ত।

আরো পড়ুন… সিসিটিভি ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রে আমাদেরকে যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন

এছাড়াও এর বিশেষ সুবিধা টি হল এই যে এর চারপাশের ফ্রেমলেস ন্যানো-এজ ডিসপ্লেতে ব্যবহারকারী তার নিজের ইচ্ছে মত নিজের প্রয়োজনীয় কাজ গুলো নিজের ইচ্ছামত সাজিয়ে নিতে পারবেন।

আর এর দুটি স্ক্রিন-ই সর্বোচ্চ ৪০৯৬ প্রেশার  সাপোর্ট করতে পারে। এছাড়াও এর স্ক্রিনপ্যাড প্লানের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ল্যাপটপটিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্ক্রিন এক্সপার্ট নামক দুইটি সফটওয়্যার, যা স্ক্রিনটিতে আরও বেশি বিল্ট-ইন অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করে থাকে। 

তথ্যপ্রযুক্তির এই স্বর্ণযুগে ডুয়েল স্ক্রিন এর ল্যাপটপ সত্যিই আমাদের কাছে একটি আকর্ষণীয় বিষয়। স্বপ্নের মতো এই ডিভাইসকে বাজারজাত করেছে আসুস।এটি ব্যবহারের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে যেটা আমরা ইতিপূর্বে আলোচনা করেছি।

আমরা দিনে দিনে প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছি।আর এই প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল যুগে উন্নত মানের ডিজিটাল ডিভাইস এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এটি যেমন মানুষের চাহিদাকে পূরণ করতে পারে তেমনি আবার অর্থনৈতিকভাবেও দেশ এবং সমাজের উন্নতি সাধন করতে পারে।

তথ্য প্রযুক্তি সম্পন্ন ডিজিটাল যুগ যতটাই সামনে আগাবে অতটা উন্নত মানের সম্পূর্ণ নতুন নতুন ডিজিটাল পণ্য আমাদের হাতে আসবে এটাই আমরা আশা করি। এর ফলে যুবসমাজের বেকারত্ব কমে যাবে। এবং দেশ ও সময় হবে অর্থনীতিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ।আমাদের দেশের যুবসমাজ অনলাইনে বিভিন্ন রকমের কাজ করে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।

যা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে উন্নতি করে। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে তখনই আমরা নিজেকে এবং নিজের দেশকে উন্নতি করতে পারব যখন আমরা হতে পারব তথ্য এবং প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ। তাই বর্তমান বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির হাত ধরে উন্নত জীবনের শিখরে পৌঁছানোর অনেকটাই সম্ভব।